যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, হোয়াইট হাউসের সামনেও তীব্র প্রতিবাদ

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, হোয়াইট হাউসের সামনেও তীব্র প্রতিবাদ

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, হোয়াইট হাউসের সামনেও তীব্র প্রতিবাদ

ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে শনিবার (১৯ এপ্রিল) হাজার হাজার মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন। এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহৎ আন্দোলন।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, হোয়াইট হাউসের সামনেও তীব্র প্রতিবাদ

বিক্ষোভকারীরা অভিবাসন নীতি, সরকারি চাকরি থেকে ব্যাপক ছাঁটাই, ফিলিস্তিন-ইউক্রেন সংকটে প্রশাসনের অবস্থান এবং জলবায়ু ও স্বাস্থ্যনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হোয়াইট হাউসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ:
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের সামনের লাফায়েট স্কয়ারে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে হাজারো মানুষ অবস্থান নেন। সেখানে লেখা ছিল— ‘শ্রমিকের ন্যায্য ক্ষমতা থাকা উচিত’, ‘ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করুন’, ও ‘কোনো কিংশিপ নয়’

অভিবাসী ও শিক্ষার্থীদের সমর্থনে সংহতি:
বিক্ষোভকারীদের অনেকে অভিবাসীদের সমর্থনে স্লোগান দেন। তারা বলেন, “রাষ্ট্র আইনের অপব্যবহার করে নিরীহ অভিবাসীদের নিপীড়ন করছে।” এছাড়া যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের আটক ও নির্বাসনের প্রতিবাদও জানানো হয়।

ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন ইস্যু:
অনেকে ফিলিস্তিনি পতাকা ও কেফিয়েহ পরে প্রতিবাদে অংশ নেন এবং ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন। অন্যদিকে ইউক্রেনপন্থি বিক্ষোভকারীরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

৫০৫০১ আন্দোলন ও মে দিবসের ডাক:
বিক্ষোভ আয়োজন করে ৫০৫০১ নামের একটি সংগঠন, যার উদ্দেশ্য ৫০টি রাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ ও একটি সমন্বিত জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা। তারা জানায়, ১ মে ‘মে ডে স্ট্রং’ নামে আবারও বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে।

ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে সারাদেশে ক্ষোভ:
নিউইয়র্ক, শিকাগোসহ ডজনখানেক শহরেও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি দেশটিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এক প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— “ঘৃণা কোনো জাতিকে মহান করে না।”

Leave a Comment